কক্সবাজারের পেকুয়ায় সর্বত্র ছেলে ধরা নামক ভুঁয়া আতংক বিরাজ করছে।যার ফলে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।অভিভাবকেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।পেকুয়ার বেশ কিছু স্থানে ঘুরে জানা গেছে বেশ কয়েকদিন ধরে ছেলে ধরা নামক মিথ্যা বানোয়াট ভুয়া গুজব সর্বত্র রটাচ্ছেন কিছু বকাটে।এই পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ঠ কাউকে ছেলে ধরা হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেনি কেউ এবং কার ছেলে নিয়ে গেছে তার ও কোন প্রমান নেই বললে চলে।যা কান নিয়েছে চিলে বলে চিলের পেছনে ঘুরা ছাড়া আর কিছুই নয়।তারপর ও এই পর্যন্ত বেশ কয়েকজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে মানুষকে অন্যায়ভাবে পিঠিয়ে মুমূর্ষ করে তুলেছেন কথিত গণধোলায় দেয়া জনতা।এদের কয়েকজন ইতিমধ্যেই হাসপাতালের বেডে মৃত্যু শর্য্যায় পান্জা লড়ছেন।তাদের কি অপরাধ তা কেউ বলতে পারছেন না।এই সব পাগলদের পিঠিয়ে আহত করে শুধু শুধু আতংক ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন এলাকার সচেতন মহল।এবং কি আইনশৃংখলা বাহিনীকে বিপাকে ফেলতে এই গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলেও তাদের ধারণা।আতংকিত কয়েকজন অভিভাবকের সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ক্ষোভের সাথে জানান ইতিমধ্যেই আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে চাইছেন না এই নিয়ে আমরা বেশ টেনশনে আছি।পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মহিউদ্দিন জানান আমার দুটি মেয়ে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে কিন্তু কয়েকদিন ধরে আমার মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছেন না স্কুলে যেতে বললে তারা বলেন পথে ছেলে ধরা আছে।উজানটিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা দলিল লিখক আশেক এলাহী বলেন এটা সম্পুর্ন ভুয়া তার পর ও তা ছেলে মেয়েদের বুজাতে পারছিনা।এই বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাছান মুরাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আসলে এই আতংকে স্কুলে উপস্থিতির হার খুবই কমছে যা অত্যান্ত দুখজনক।পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম বলেন,আসলেই উপস্থিতি কমে যাচ্ছে এই টেনশনে যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।উজানটিয়া সুতাচুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মুহাম্মদ মুদাচ্ছের মুরাদ জানান,এই আতংক আমাদের স্কুলে ও প্রভাব ফেলেছে যার জন্য ছেলে মেয়েদের ¯ু‹লে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা।তবে এই সব ভুয়া আতংক যারা ছড়াচ্ছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনার আহবান ও কাউকে আতংকিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসি।
পাঠকের মতামত: